স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ফাইজারের এক লাখ টিকা আসছে রোববার

কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে ফাইজারের এক লাখ ছয়শ ডোজ করোনার টিকা আসছে আগামী রোববার (৩০ মে)।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়।

এর আগে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত দেশে জরুরি ব্যবহারে চারটি টিকা অনুমোদন পেলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আবেদন করে। পরদিন (২৫ মে) অধিদপ্তর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করে।

কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ফাইজার-বায়োএনটেকের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, টিকাটির স্থানীয় দায়িত্বশীল সংস্থা হিসেবে কাজ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অধিদপ্তর জানায়, ১২ বছরের বেশি বয়সের মানুষের জন্য এই টিকা ব্যবহারযোগ্য। তবে বাংলাদেশে সরকারের ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে।

ফাইজরের টিকার রয়েছে দুই ডোজ। প্রথম ডোজের তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এই টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হবে হবে। তবে টিকাটি পাঁচ দিন ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

দেশে তৃতীয় টিকা হিসেবে চীনের ভ্যাকসিন (সিনোফার্ম ) আনা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধনী করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ওইদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “চীনের টিকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য খাতের কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। জুন মাসেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের টিকা আসা শুরু হবে। তখন থেকে পুরোদমে টিকা দেওয়া শুরু হবে।”

এর আগে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকার অনুমোদন দেয় সরকার। দেশে প্রথম ব্যবহার করা হয় ভারতের সিরামের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন।

আরো সংবাদ