স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষার ঘোষণায় ৪২ টন নিষিদ্ধ পপি বীজ আমদানি

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আসা দুটি কনটেইন্টার থেকে ৪২ মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ করা হয়েছে। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে।

পপি গাছের ৩০০ প্রজাতির মধ্যে ওপিয়াম পপির ফল থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায়, তা দিয়ে তৈরি হয় আফিম। সেখান থেকে হেরোইন ও মরফিনের মত মাদকও তৈরি করা হয়। বীজ থেকেই চাষ করা যায় পপি।

এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে এসব বীজ আমদানি করেছে। তিনি বলেন, ‌‘সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।’

কনটেইনার দুটি খালাসের কার্যক্রম শুরু হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তা স্থগিত করা হয়। পরে গত ২২ এপ্রিল সরেজমিন পরীক্ষায় ৫৪ টন সরিষা বীজের জায়গায় ৪২ টন পপি বীজ ও ১২ টন সরিষা বীজ পাওয়া যায় বলে জানান এ শুল্ক কর্মকর্তা।

রেজাউল করিম বলেন, ‘নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই বীজের নমুনা চট্টগ্রামে কয়েকটি পরীক্ষাগারে এবং পরে ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার প্রতিবেদনে পেলে নিশ্চিত হওয়ার পর এসব জব্দ করা হয়।’

এআইআর শাখার কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী ৪২ টন পপি বীজের বিক্রয় মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা হলেও সরিষা বীজের মূল্য বাবদ এলসি’র মাধ্যমে ২২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ পণ্যের অবশিষ্ট মূল্য অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে পরিশোধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

তারা আরও জানান, অসত্য ঘোষণায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় সংশ্লিষ্টদের আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এছাড়া, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে কাস্টম হাউসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।

আরো সংবাদ