স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কানাডায় মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার কানাডাতেও ছড়িয়ে পড়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ। এই বিদ্বেষের শিকার হয়ে প্রাণ গেছে একই পরিবারের চার মুসলিম নারী-পুরুষের। তাদের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয়েছেন আরও এক শিশু।

এটিকে পরিকল্পিত ও ইসলাম-বিদ্বেষী ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ধর্মীয় বিদ্বেষের মূলোৎপাটনের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে স্থানীয় সময় রোববার (০৬ জুন) একই পরিবারের কয়েকজন সদস্যের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দেন এক হামলাকারী। এতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন এক শিশু, তার অবস্থা গুরুতর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের সবাই মুসলিম। তাদের ওপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা, ৪৪ বছর বয়সী নারী, ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও ১৫ বছর বয়সী কিশোরী। তাদের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে তারা এশিয়ান।

এ ঘটনায় ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনাস্থলের ছয় কিলোমিটার দূরের শপিংমল থেকে। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার নাম নাথানিয়েল ভেল্টম্যান। তিনি কানাডার নাগরিক।

লন্ডন পুলিশ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা স্টেফেন উইলিয়ামস বলেন, খবর পেয়েই স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতদের সবাই মুসলিম ও তাদের হত্যা করা হয়েছে, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়রের পাশাপাশি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি হুঁশিয়ারি বলেন, ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম-বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই তার দেশে। যে কোনো মূল্যে এই সংকট সমাধান করা হবে।

এর আগে, কুইবেক প্রদেশে ২০১৭ সালে মসজিদে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারান ছয়জন, আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সম্প্রতি ভ্যানকুভার বিমানবন্দরে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নিহত হন।

আরো সংবাদ