স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

পর্তুগালের বিপক্ষে থ্রিলার জিতল জার্মানি

হাইভোল্টেজ ম্যাচের উত্তাপ ছড়াবে এমন প্রতীক্ষাতেই বিশ্বের কোটি ফুটবলপ্রেমী অপেক্ষা করছিল। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের এফ গ্রুপকে এমনিতেই বলা হচ্ছে মৃত্যুকূপ। আর সেই গ্রুপে যখন পরস্পরের মুখোমুখি পর্তুগাল ও জার্মানি, তখন বাড়তি রোমাঞ্চ তো সবার মাঝে কাজ করবেই।


রোমাঞ্চ অবশ্য শুধুমাত্র ম্যাচ ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার জন্যই নয়, মাঠের লড়াইটাও ছিল মিউনিখের ফুটবল বাগানে সৌরভ ছড়ানো এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেখানে ঝাঁঝালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝে আবারো দেখা মিলেছে বিধ্বংসী জার্মানির। পিছিয়ে পড়েও দারুণ ফাইটব্যাকে ৪-২ গোলের জয়ে তারা শেষ ষোলোতে যাওয়ার লড়াইটাকে উত্তেজনার একদম উপরে নিয়ে গেছে।

শনিবার (১৯ জুন) রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই বোঝা গিয়েছিল কঠিন এক লড়াই হবে। ৫ মিনিটের মাথায় ম্যাথিয়াস গিন্টার বল জালে জড়িয়ে জার্মানিকে লিড প্রায় এনেই দিয়েছিলেন। তার সতীর্থ রবিন গোসেন্স অফসাইডে থাকায় রেফারি গোল বাতিল করেন। ১০ মিনিটের মাথায় থমাস মুলারের পাসে বল পাওয়া কাই হাভার্টজের বাঁ পায়ের শট দৃঢ়তার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। তিন মিনিট পর থমাস মুলারের শটও প্রতিহত করেন প্যাট্রিসিও।

১৫ মিনিটে জার্মানির কর্নার কিক থেকে ভুল পাসে বল পেয়ে বের্নারদো সিলভার ডান প্রান্ত দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন। একটানে বল নিয়ে তা বাঁ দিকে থাকা দিয়েগো জোতার কাছে পাস দেন। এই সুযোগে মাঝ মাঠ দিয়ে দৌড়ে ডি বক্সের সামনে নিজের অবস্থান নেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জোতার পাসে বল নিয়ে বাঁ পায়ের টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন সিআর সেভেন।

গোল হজমের পর জার্মানি তা শোধে নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠে। ১৮ মিনিটে রবিন গোসেন্সের শট গোলরক্ষক বাধাগ্রস্ত করেন। ২২ মিনিটে রুবেন দিয়াসের হেড লক্ষ্যে থাকলে পর্তুগাল ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো। ছয় মিনিট পর জোতার হেড পোস্টের উঁচু দিয়ে বেরিয়ে যায়।

৩৫ মিনিটে গোয়েন্সের অ্যাসিস্টে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান কাই হাভার্টজ। চার মিনিট পর রাফায়েল গুয়েরেইরোর আত্মঘাতী গোলে জার্মানি লিড পায়।

৪৪ মিনিটে গোয়েন্সের শট ঠেকিয়ে দেন প্যাট্রিসিও। তাতে বিরতির আগে পর্তুগাল আর গোল হজম করেনি। দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। ৫১ মিনিটে গোয়েন্সের পাসে বল পেয়ে ডি বক্সের ভেতরে থাকা হাভার্টজ জার্মানির হয়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন। নয় মিনিট পর জশুয়া কিমিচের ক্রসে বল নিয়ে এবার নিজেই হেডে নিশানাভেদ করেন গোয়েন্স। মূলত এখানেই জোয়াকি লোয়ের দলের জয়ের তিলক আঁকা হয়ে যায়।

পর্তুগাল অবশ্য ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ৬৭ মিনিটে সেট পিস থেকে রোনালদোর বাড়ানো বল পেয়ে জোতা ব্যবধান খানিকটা কমান। ৭৮ মিনিটে পর্তুগালের কপাল পোড়ে রেনাতো সাঞ্চেসের শট বারে লেগে ফিরে আসায়। ৮৩ মিনিটে লেওন গোরেৎস্কার শটও বারে লেগে ফিরে না এলে পঞ্চম গোলের দেখা পেতো জার্মানি।

গ্রুপ এফে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নিয়ে টেবিলে সবার উপরে ফ্রান্স। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেলেও গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে জার্মানি ও পর্তুগাল। এক পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে থাকলেও হাঙ্গেরি ক্ষীণ আশা টিকিয়ে রেখেছে।

আরো সংবাদ