স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে ৯ পাইলটের লিগ্যাল নোটিশ

বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সংস্থাটির ৯ পাইলট।

মঙ্গলবার (২২ জুন) ৯ জন পাইলটের পক্ষে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহিন এম. রহমান।

৯ পাইলট হলেন : আজিজ আব্বাসী রফিক, সৈয়দ হাবিবুর রহমান, খোন্দকার নাজমুল ইসলাম, শামীম আক্তার, চৌধুরী শামসুল ইসলাম, তারেক হাদী, আহমদ বরকতে-ই খোদা, নুর মোহাম্মদ জুয়েল ও আসিফ মাহমুদ।

নোটিশে ১৫ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার পাশাপাশি ২০২০ সিমুলেটর ট্রেনিং (পাইলটদের জন্য ব্যয়বহুল প্রয়োজনীয় ট্রেনিং) বাবদ খরচ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রিজেন্ট এয়ারওয়েজে পাইলট হিসেবে যোগদানের সময় জমা রাখা ব্লাংক চেক ফেরত চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নোটিশে পাইলটরা যেন অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান সেজন্য  রিজেন্ট এয়ারওয়েজ থেকে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিতে বলা হয়েছে।

ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নিলে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছরের মার্চ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। গত দেড় বছরে বারবার তারিখ দিয়েও ফ্লাইটে ফিরতে পারেনি সংস্থাটি। গত দেড় বছর পাইলট কিংবা অন্যকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো বেতনও দেয়নি তারা। সবাইকে রাখা হয়েছে অবৈতনিক ছুটিতে। এরই মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও এনবিআরের কাছে প্রতিষ্ঠানটির দেনা ছাড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। বন্ধ হওয়ার আগে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টিকিটের টাকাও ফেরত দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সরকারি ফি বাবদ বেবিচক এয়ারলাইন্সটির কাছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পায়।

এছাড়া তাদের কাছে এনবিআরের পাওনার পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ফ্লাইটে ফিরতে বেবিচককে ধীরে ধীরে পাওনা পরিশোধের কথা বলা হলেও কয়েক মাস ধরে কোনো টাকাই দিচ্ছে না রিজেন্ট।

আরো সংবাদ