স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী, সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা এবং চরক্লার্ক ইউনিয়নে পুকুরের পানিতে ডুবে একই দিনে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে এসব শিশুর মৃত্যু হয়। 

নিহতরা হচ্ছে- সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের হোরন মিয়ার ছেলে আফসার হোসেন (৪), একই গ্রামের মিলনের মেয়ে মাহি (২), চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আরমান হোসেন (৪) এবং মাইজদীর হরিনারায়ণপুর এলাকার নাজির উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ নাহিদ (৩)।

স্থানীয়রা জানান, চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে সকালে অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলাধুলা করছিল আফসার। পরে পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরে জাল ফেললে আফসারের দেহ জালে উঠে আসে।
একই গ্রামের শিশু মাহিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   

এদিকে দুপুরে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে আরমানকে বাড়ির কোথাও দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন। এ সময় বাড়ির পুকুরের পানিতে আরমানকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তারা।

সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেব জ্যোতি জানান, তিন শিশুকে মৃত অবস্থায় তাদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পানিতে থাকা অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুরের মহোদুরীর বাসিন্দা নাহিদকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে বাসার পাশের একটি ট্যাংকের সামনে নাহিদের জুতা পড়ে থাকতে দেখে তারা। পরে ট্যাংকের ভেতরে নাহিদকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাহিদকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 


তিনি বলেন, বৃষ্টির পানিতে সেপটিক ট্যাংক ভরে যায়। পরিবারের লোকজনের অজান্তে দীর্ঘ সময় ধরে ট্যাংকে পড়ে থাকায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

আরো সংবাদ