স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রবাসীকর্মী প্রবেশের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর

ঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর আরও বেশি অভিবাসী পুরুষ শ্রমিক এবং নারী গৃহকর্মীকে প্রবেশের অনুমতি দিতে যাচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী গন কিম ইওং বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্তের পর আমাদের কোম্পানিগুলোর ওপর থেকে অপরিসীম চাপ কমবে। করোনার শুরু থেকে এই চাপ বেড়েছে।’

সিঙ্গাপুর আরও বেশি শ্রমিককে প্রবেশের অনুমতি দিতে করোনাভাইরাসকে এখনো ‘বড় প্রতিবন্ধকতা’ মনে করছে। খুব শিগগির নতুন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে নতুন নীতিমালা গঠন করবেন শ্রম মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা।

আসন্ন ঘোষণার আওতায় বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের শ্রমিকেরা উপকৃত হবেন। এই তালিকায় ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমার আছে। যদি দেশগুলো করোনা টিকাদান কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করতে পারলে সামনের মাসের শেষ দিকেই ঘোষণা আসতে পারে।

কিছু বিষয় ঠিক করতে জরুরি বৈঠকে বসবেন দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা| যেমন, অভিবাসী শ্রমিকদের কোন বিমানবন্দর দিয়ে নেয়া হবে? কত দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে?

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যে দেশ থেকে শ্রমিকেরা আসবেন, সেখানকার ভ্যাকসিন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। ইতিমধ্যে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে।

কোন সেক্টরের অভিবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার থাকবে?

করোনায় সিঙ্গাপুরের রফতানিখাত বিপাকে পড়েছে। এই সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রবেশাধিকারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গৃহকর্মীদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও খাদ্য-পানীয় এবং হোটেল-পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের দ্রুত ফেরানো হতে পারে।

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, ‘সব খাতের শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার হয়তো আমরা এখনই দিতে পারব না, তবে চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে টিকাদান কর্মসূচির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’

সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্ত খোলার আগে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং গোটা বিষয়টিকে তারা ‘বহুমাত্রিক পদক্ষেপের’ অংশ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

আরো সংবাদ