স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় সিআরবি ধ্বংস করে হাসপাতাল নির্মাণ

ঐতিহ্য, পরিবেশ ধ্বংস করে জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো উন্নয়নই কাম্য নয়। সিআরবি রক্ষায় ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ছায়া সংসদের আদলে এক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘সংসদ মনে করে- পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে যেকোনো ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।’ এতে অংশগ্রহণ করেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দীন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত, উপ-বিতর্ক সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (সিইউডিএস) প্রাক্তন সভাপতি হিমাদ্রী শেখর নাথ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব ডিবেট’র সহ-সভাপতি সাদাফ নাফ। বিতর্কে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল। ছায়া সংসদে প্রধানমন্ত্রী হিমাদ্রী নাথ বলেন, উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু সিআরবিসহ দেশের যেকোনো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী জায়গায় কোনো স্থাপনা করার সময়, উন্নয়নের আগে পরিবেশ ও ঐতিহ্যকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যে কাজী আরফাত বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া দেশকে গতিশীল রাখা সম্ভব নয়। তাই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অবশ্যই পরিচালনা করতে হবে, একইসাথে পরিবেশ ও ঐতিহ্যকেও রক্ষা করতে হবে। এইজন্য দরকার জাপান, ইতালি বা মালদ্বীপের মত উন্নত ইকো-ফ্রেন্ডলি ও টেকসই উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা।এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, ১৪ দলীয় জোট নেতা জসিমউদদীন বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, চবি শিক্ষক হোসাইন কবির, জাসদ নেতা বেলায়েত হোসেন, আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান, শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন কোহেল, এ কে জাহেদ চৌধুরী, প্রণব চৌধুরী, মোরশেদ আলম, মুশতাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট রাশেদ চৌধুরী, শিবু প্রশাদ চৌধুরী, দিলরুবা খানম, বশির উল্লাহ লিটন, হুমায়ুন কবির মাসুদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আরো সংবাদ