স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ফিউচার রেসিং পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর

স্বাধীনদেশটিভি’র অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রচারের পর বিখ্যাত রেসিং,টিউনিং ও রেসিং গাড়ি প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান ফিউচার রেসিং পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। গত সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশি একমাত্র প্রতিষ্ঠান ফিউচার রেসিং আর্কষ্মিক পরিদর্শনে আসেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর,এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বিশ্বের সেরা কম বয়সী রেসিং প্লেয়ার মোহাম্মদ হোসেন সরোয়ার,কমিউনিটি নেতা কাজী মোহাম্মদ আলী,দিদার আলম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারী কর্মকর্তাগণ। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত সরওয়ার এর ভূয়সী প্রসংশা করেন। রাষ্ট্রদূত দেশের নাম উজ্জল করার জন্য মোহাম্মদ হোসেন সরওয়ারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এক্ষেত্রে দূতাবাস সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

উল্লেখ, বিশ্বের সেরা রেসিং প্লেয়ার বাংলাদেশি মোহাম্মদ হোসেন সরওয়ার দুবাইতে অবস্থান হলেও বিশ্বের জুড়ে তার একটি সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। যতটুক জানা যায় বিশ্বের সেরা কম বয়সী রেসিং প্লেয়ার বাংলাদেশি হোসেন সরোয়ার। বিষয়টা অনেকে বিশ্বাস করতে না চাইলেও এ কথা সত্য যে হোসেন সরোয়ার একজন বাংলাদেশি এবং তিনি রেসিং বিশ্বে’র শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের পিতা লাল মিয়া ও মাতা রৌশন আরা’র ২য় পুত্র হোসেন সরোয়ার। আমরা জানতে চেয়েছিলাম হোসেন সরোয়ার এর অবিশাস্য গল্পের কথা। দুবাইতে বসবাসরত বাংলাদেশি হোসেন সরোয়ার আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বে ১৯৯১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসেন। শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক অধ্যায় শেষে দুবাইতে পুনরায় লেখাপড়ায় মনোনিবেশ হন। ছোটকাল থেকে সরোয়ারের রেসিংয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। এরই প্রেক্ষিতে দুবাইতে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে রেসিং কোর্স সম্পন্ন করেন। শুরুতে গভর্ণমেন্ট গ্যারেজের মধ্যদিয়ে প্রবাসে তার কর্মজীবনের শুরু হয়। পরে তাঁর কর্মদক্ষতা এতোই তীক্ষ ছিল যে, দুবাইয়ের নাম করা প্রতিষ্ঠান তারেক পারফরম্যান্স কোম্পানীতে কর্মস্থল পরিবর্তন করেন। এরপর ২০০১ সালে তিনি দুবাইতে ফিউচার রেসিং নামে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন। তার কাজের গুণগত মান স্থানীয় জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ২০১৪ সালের দিকে দুবাইয়ের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান এর নজরে পড়লে সরোয়ারকে উচ্চ বেতনে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান নাজ রেসিংয়ে কর্মকর্তার দায়িত্ব অর্পণ করেন। সেই সুবাদে সরোয়ার এর সাথে বিশ্বের নানা দেশের নাগরিকদের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সাথে সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠে।ফিউচার রেসিং এর মূল কাজ হলো রেসিং গাড়ী প্রস্তুত করা, রেসিংয়ে অংশ নেয়া ও রেসিং কার টিউনিং করা। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে রেসিংয়ে খ্যাত হয়ে উঠেন। বর্তমানে সরোয়ার রেসিং জগতের এক জনপ্রিয় নাম। পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়সে অর্থাৎ ২৫ বছর বয়স থেকে সরোয়ার রেসিং টিউনার হিসেবে বিশ্বের পরিচিত। এছাড়া তিনি কাতার, ওমান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সেরা রেসিং এর কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে তিনি বিজয়ী হন। এতসব অর্জনের সাথে সাথে তিনি আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া থেকে রেসিংয়ের কোর্স সম্পন্ন করেন। প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসের ব্যাপারে সরোয়ার আমাদের বলেন, আমি মূলত তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকি যার কারণে এই দেশের শেখ পরিবার থেকে শুরু করে পৃথিবীর অনেক দেশের নামিদামি রেসিং খেলোয়াড়ের মাঝে আমি সুপরিচিত। প্রথমত গ্রাহকের সাথে ভালো ব্যবহার করা, দ্বিতীয় কাজ সম্পাদনের পর তার সাথে ভালো যোগাযোগ রাখা এবং তৃতীয় স্বচ্ছতার সাথে কর্ম সম্পাদন করা।

আরো সংবাদ