স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন

বিএমইটি-এর মহাপরিচালক মো: শহীদুল আলম (এনডিসি) ২৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রের (এমআরসি) উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করতে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ঢাকা ও কুমিল্লায় অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ চালু রয়েছে।অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অভিবাসীদের পাশাপাশি যারা অন্যান্য কাজের উদ্দেশ্যে এবং উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছে, সেই সাথে যারা বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তন করছে, তাদের নিরপেক্ষ, সময়োপযোগী এবং সঠিক তথ্য সরবরাহ করে। ইমপ্রুভিং মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট (আইএমএম) প্রকল্পের আওতায় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইরাক এবং তাজিকিস্তানে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ চালু করছে। বাংলাদেশের অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থাযয়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করছে।

উদ্বোধনী ভাষণে মহাপরিচালক বলেন, “অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের জন্য ঢাকা ও কুমিল্লার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। এই উদ্যোগগুলোর দ্বারা মানব পাচার এবং অনিয়মিত অভিবাসন হ্রাস পাবে এবং আমরা আশা করি আইসিএমপিডি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও আরও অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ স্থাপন করবে।”মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সরকার অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহের কার্যক্রমে পূর্ণ সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও তা চালিয়ে যাবে।অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক (পিকেবি), ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বিওইএসএল), জাতীয় হেল্প লাইন ও জরুরী নম্বর (৩৩৩ এবং ৯৯৯) এবং অন্যান্য সহযোগীদের বিভিন্ন রেফারেল পরিষেবার জন্য রেফারেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ ইউনিয়ন পরিষদের সাথে বিভিন্ন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সভা ও অধিবেশন, উঠান সভা পরিচালনা করে এবং বাংলাদেশে বাজার ভিত্তিক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডরদের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করছে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধনে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের প্রতিনিধিরা, সম্ভাব্য ও প্রত্যাগত অভিবাসী, দেশি বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, এমআরসির ক্যাম্পাস এম্বাসেডর এবং গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আবু জাফর রিপন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নাশিদ রিজওয়ানা মনির, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি নুরুল কাদের; বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতিনিধি অনিন্দিত দত্ত; ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি)-এ সিল্ক রুটের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সেডেফ ডিয়ারিং; ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্টের (আইসিএমপিডি) সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার গোল্ডা মিরা রোমা; এবং আইসিএমপিডির কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ক্যাপ্টেন (মোঃ) ইকরাম হোসেন।

আরো সংবাদ