স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ওমান ও ইরানে ঘূর্ণিঝড় শাহিনের তাণ্ডব,ধেয়ে আসার আশঙ্কা আমিরাতেও

ঘূর্ণিঝড় শাহিনের তাণ্ডবে ওমান ও ইরানে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। রোববার দেশ দুটির ওপর আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। রবিবার এই ঝড় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে।ওমান আবহাওয়া অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওমান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নরত এবং ওমানে আসা সব ফ্লাইট আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব ফ্লাইট। প্রবলবেগের বাতাস এবং বৃষ্টিপাত থেকে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শাহিনের প্রভাবে আরব সাগরের পানি ৫ থেকে ১২ মিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওমান আবহাওয়া অফিস। দেশটির দক্ষিণ ও উত্তর আশ শারকিয়াহ, মাস্কাট, উত্তর ও দক্ষিণ আল বাতিনাহ, আল দাখিলিয়াহ, আল দাহীরাহ, আল বুরাইমি এবং মুসান্দাম অঞ্চলে এর ব্যাপক প্রভাব পরবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসাথে ২০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
ওমানের সরকারি সংবাদ সংস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন একজন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণের কারণে দেশটির একটি শিল্পাঞ্চলে পাহাড় ধসে দুই এশীয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
ঝড়ের কেন্দ্রটি ভূমিতে আঘাত হানতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সময় তীব্র বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু রাজধানী মাস্কটে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বর্ষণ শুরু হয়েছে।এদিকে, ওমানে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় শাহীন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে ধেয়ে আসার আশঙ্কা করছে আমিরাত কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের সম্ভাব্য আঘাতের আশঙ্কায় সেখানে কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমিরাতের সমুদ্র সৈকত এবং উপত্যকার যেসব এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে; সেসব এলাকায় পুলিশ টহল শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরো সংবাদ