স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আবারও যুদ্ধবিমান নিয়ে তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীন

তাইওয়ান জানিয়েছে, সোমবার (৪ অক্টোবর) চীনের বিমান বাহিনীর ৫৬টি যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে চীন। ক্ষুদ্র এই দেশটির আকাশসীমায় চীনা বিমান বাহিনীর এটিই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা।এদিকে এই ঘটনার পর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাইওয়ান। দেশটি বলছে, তাইওয়ান ও এর আশপাশের অঞ্চলে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ বেইজিং।তবে তাইওয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে চীন। অন্যদিকে বেইজিংয়ের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান।তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীন বার বার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করে আসছে দ্বীপটি।এছাড়া গত শুক্রবার থেকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সীমানার মধ্যে প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন।

তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সর্বশেষ ঘটনায় সোমবার চীনের ৫৬টি যুদ্ধবিমান দ্বীপ অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে ছিল ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোম্বার যুদ্ধবিমান। এর সবগুলোই তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।এছাড়া সোমবার রাতে আরও চারটি যুদ্ধবিমানসহ ধাপে ধাপে মোট ৫৬টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।এদিকে তাইওয়ান প্রাণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বেইজিংকে অভিযুক্ত করেছে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক প্রধান নীতিনির্ধারণী পরিষদ মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি)। একইসঙ্গে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এসব প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

আরো সংবাদ