স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

১০২তম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর, মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক স্থাপন করা হয়। উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরবর্তীতে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্তৃক উক্ত দিবসে প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ, বঙ্ঘবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পরিবেশনা এবং কবিতা আবৃত্তি ছিলো অনুষ্ঠানের পরবর্তী আয়োজন। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী সংগঠনের বক্তাগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বদানের কথা এবং তাঁর সংগ্রামমুখর জীবনের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। অতঃপর, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, মার্চ মাস আমাদের অহংকার এবং সৌভাগ্যের মাস; ১৯৪৮ সালে মার্চ মাসে ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমগ্রটাই ব্যয় করেন যার ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্বে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বীকৃতি এখন বিশ্বজনীন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত ঐক্যবদ্ধভাবে পরোপকারী মনোভাব , দেশপ্রেমের প্রত্যয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাধ্যমে সঞ্চারিত করার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।  পরিশেষে, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০২তম জন্মদিবসের কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আরো সংবাদ