স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চকরিয়ায় আ.লীগের সম্মেলনে ৯ বছর পর : আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি সভাপতি, আবু মুছা সাধারণ সম্পাদক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, মেগাসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সর্বত্র অভাবনীয় উন্নয়ন হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। সুফল পাচ্ছে জেলার প্রতিটি মানুষ। তবুও এখানে দলীয় সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং করায়। দলীয় পদ ও জনপ্রতিনিধি হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে পারবেনা স্থায়ী রেষারেষি-শত্রুতা-গ্রুপিং।

১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হুইপ স্বপন আরো বলেন, পাকিস্তান আমলের প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে মৃত্যুর আগে ৯ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি রেখে গিয়েছিলেন। জাতির জনককে হত্যার পর ২১ বছরে দায়িত্ব পালন করা জিয়াসহ অন্যান্য সরকারগুলো ৫ শতাংশের আশপাশে প্রবৃদ্ধি রাখতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মহামারি করোনার আগে ৮ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি নিয়ে যান। পুরো দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন করে সকল মানুষের আস্থার ঠিকানা হয়ে উঠেছেন। এই অবস্থা দেখে বিএনপিসহ কিছু দল ও কুচক্রীমহল বিশ্ব আইডল হয়ে উঠা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা প্রপাগাণ্ডা ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেখ হাসিনাকে রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশকে উন্নয়নে শিখরে নিয়ে যেতে সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রতিজন মুজিব সেনাকে ভ্যানগার্ডের ভুমিকায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম এমপির সভাপতিত্বে ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন (কাউন্সিল) জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আমজাদিয়া রফিকুল উলুম মাদ্রাসার হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল চারটায় শুরু হওয়া এ অধিবেশনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। দুইজন প্রার্থী থানায় ভোট হয় সাধারণ সম্পাদক পদে। নির্বাচনে আবু মুছা বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্বাচন পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত দাশ।

আরো সংবাদ