স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টলবীর মহিউদ্দিনের ৭৬তম জন্মদিন আজ

আজ ১ ডিসেম্বর। ১৯৪৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহন করেন চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আজ তাঁর ৭৬তম জন্মদিন।

করোনার মধ্যে সীমিত পরিসরে চলছে খতমে কোরআন, মিলাদ, কবর জেয়ারত, ফাতেহাসহ নানা আয়োজন। নেতা-কর্মী আর অনুসারীদের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ফুলে রঙিন হচ্ছে কবরটি। তাদের চোখে পানি, স্মৃতির পাতায় একেকটি সোনালি অধ্যায়।   

রাউজানের গহিরা গ্রামে সম্ভ্রান্ত বক্স আলী চৌধুরী পরিবারে জন্ম নেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। বাবা রেল কর্মকর্তা হোসেন আহমদ চৌধুরী এবং মা বেদুরা বেগম।

ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৬২ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৬৭ সালে ডিগ্রি পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে এবং পরে আইন কলেজে ভর্তি হলেও ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে শেষ করতে পারেননি লেখাপড়া।

১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৭১ সালে ‘জয় বাংলা’ বাহিনী গঠন করেন। সেই সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেফতার হন। পরে পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে উত্তর প্রদেশের তান্ডুয়া সামরিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্কোয়াডের কমান্ডার নিযুক্ত হন।

মহিউদ্দিন চৌধুরী যুবলীগের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। এরপর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে গঠন করেন ‘মুজিব বাহিনী’। ওই সময় ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা’র আসামি করা হলে তিনি  কলকাতায় চলে যান। ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন।

তিনি যুবলীগের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। এরপর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে গঠন করেন ‘মুজিব বাহিনী’। ওই সময় ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা’র আসামি করা হলে তিনি  কলকাতায় চলে যান। ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন প্রায় দুই যুগ। ২০০৬ সালের ২৭ জুন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এ দায়িত্ব নিয়ে বহাল ছিলেন আমৃত্যু। একটানা ৩ বার প্রায় ১৭ বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েই বিজয়ী হন। ২০০০ সালে দ্বিতীয় দফায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০০৫ সালে তৃতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এখন দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। 

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উত্থান-পতন ও নানান ঘটনাপ্রবাহে চট্টলবীরে পরিণত হওয়া মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরের একটি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেন।

আরো সংবাদ