স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আমার দু’হাত আর শার্ট রক্তে ভিজে লাল হয়ে গেল

আহত যাত্রীদের মর্মান্তিক আর্তনাদে, উদ্ধারকর্মীদের কোলে ভয়ার্ত শিশুর চাপা কান্না, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের শব্দ চারিপাশে ভয়ংকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। দুবাই থেকে কোঝিকুদ বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে নামার সময় ছিটকে খাদে পড়ার পরে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কেরালাবাসী।

যখন বিমানটি আছড়ে পড়ার প্রবল শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা তখন বুঝতে পারেন, বড় কোন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে চলেছেন তারা। খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন বাসিন্দারা।

তাদের ভেতর একজন বলেন, দেখলাম শিশুগুলো বিমানের সিটের নিচে আটকে রয়েছে। আমরা যখন এখানে পৌঁছাই ততক্ষণে কয়েক জনকে বিমান থেকে নামানো হয়েছে। দেখলাম অনেকের হাত-পা ভেঙে গিয়েছিল। আমার দুহাত আর পুরো শার্ট ভিজে রক্তে লাল হয়ে গেল।

উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করা এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আহত পাইলটদেরকে ককপিট ভেঙে বার করতে হয়েছে। কিন্তু পরে দুই পাইলটেরই মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার আকস্মিকতায় যাত্রীরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই যাত্রীদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

কোন্ডট্টির যে দুটি হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে সেখানেও আহতদের হতাহতের করুণ দৃশ্য। হঠাৎ এত বড় দুর্ঘটনা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার ডাক্তার ও নার্সেরা।

রাতেই কোঝিকুদের বেবি মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান আহত যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনেরা। তাদের সকলেই হাসপাতালে ঢুকে খবর নিতে চাইলে করোনা নিষেধাজ্ঞার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্কতা নিতে বাধ্য হন। প্রত্যেকে ব্যক্তি মাস্ক পরে রয়েছেন কি না সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন এবং হাসপাতালে যেন ভিড় না হওয়ার সেজন্য আত্মীয়দের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় নি।

এর আগে, শুক্রবার (৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ভারতের কেরালায় ২শ’ আরোহী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। কেরালার কুচহিকোদ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ মৃত্যু ২০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

আরো সংবাদ