স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আমিরাতে খাদ্য উৎপাদনে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর

বাংলাদেশ আমিরাতে খাদ্য উৎপাদনে কাজ করতে চায় বলেছেন দেশটিতে নব নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটি, আবহাওয়া ও ভৌগোলিক কারণে অনেক কিছুই উৎপাদন হয় না। তাই আমরা এই জায়গায় কাজ করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে আমিরাতে নব নিযুক্ত রাষ্টদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই (বিবিসি)’র নেতৃবৃন্দর সাথে করোনাকালিন সময়ে সৃষ্ট নানা সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে ডায়লগ ও রাষ্টদূতকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, কোভিড-১৯ সমস্যার পাশাপাশি আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশর খাদ্য উৎপাদন ছিল ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ চার গুন ৪০ মিলিয়ন খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। এটা কিন্তু এখন সকলে জানে এবং এ খানকার সরকার ও তা জানে। অন্যদিকে দুবাই এর আবির ফুড এন্ড ভেজিটেবল মার্কেটে তিন বিলিয়ন ডলারের কাজ হয়ে থাকে সেখানে কিন্তু বাংলাদেশ রপ্তানির প্রথম দশ দেশের মধ্যে নেই। আমরা যদি এইখানে অন্তত ৫% খাদ্যরপ্তানি করতে পারি তাহলে দেশের খাদ্য রপ্তানির পরিমান হবে ১৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। আমরা সেখানে কাজ করতে চাই এবং বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর।

কনস্যাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, একটি দেশের জীবন দশায় বার বার এক্সপো আসেনা। তাই এখানকার ব্যবসায়ী কমিউনিটি যারা আছে তাদের জন্য এটি সুবর্ণ সুযোগ এক্সপোতে অংশ গ্রহণ করে উন্নতি সাধন করা এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায়। সেই জন্যে দূতাবাস, কনস্যুলেট, বিজনেস কাউন্সিল ও ব্যবসায়ী এক সাথে কাজ করে যাবে বলে জানান।

কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান তার বক্তব্যে জানান, গত মাসে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমদানি হয়েছে ৩০ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে ৬ মিলিয়ন ডলার বেশি। তাই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের লক্ষ্য ৩ দশমিক ৬০ বিলিয়ন পৌচ্ছা সম্ভব।

বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের দুবাই এর প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাছিরের সভাপতিত্বে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুবাইতে নিয়োজিত বাংলাদেশের কনস্যাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান,কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান।

উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কনস্যাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান প্রবাস লামারং, প্রথম সচিব (সার্বিক) মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান, কাউন্সিলর (শ্রম) ফাতেমা জাহান, প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, প্রথম সচিব ( পাসপোর্ট ও ভিসা) নুর-ই-মাহবুবা জয়া, দ্বিতীয় সচিব ( কাউন্সিলর) মো. মোজাফফর হোসাইন,আবুধাবী দূতাসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান,
বাংলাদেশ বিমান দুবাই এর রিজোনাল ম্যানেজার দিলীপ বিশ্বাস,দুবাই জনতা ব্যাংক শাখার ম্যানেজার আব্দুল মালেক।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্য বৃন্দ।

এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আইয়ুব আলী বাবুল, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ রাজা মালিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাহবুব আলম মানিক সিআইপি, সংগঠনের মেম্বার মোহাম্মদ জাকির হোসেন হাফিজ, সংগঠনের ইসি মেম্বার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম সিআইপি, সংগঠনের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াকুব সৈনিক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন হাফিজ, সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেলোয়ার আহাম্মেদ।অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।
এর আগে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন আব্দুল্লাহ ও শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফজলুল কবির চৌধুরী।

আরো সংবাদ