স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আনোয়ারায় জোয়ারের পানিতে ফের ৪ গ্রাম প্লাবিত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রায়পুর ইউনিয়নের চারটি গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানির তোড়ে এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে গেছে। ফসল ও মাছের ঘেরসহ কৃ্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে বঙ্গোপসাগরের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে উপকূলীয় এই ইউনিয়নের ৪ গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে এসব পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রায়পুর ইউনিয়নের ৪ গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়িঘর লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরের চুলায় আগুন জ্বলছে না। নলকূপও পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ক্ষুধার্ত মানুষ ও পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে থাকায় এসব এলাকার যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

পানিবন্দি মানুষ সাঁতরে বা নৌকা নিয়ে চলাচল করছে। প্রচণ্ড লবণাক্ততার কারণে ওই দুই ওয়ার্ডসহ এ ইউনিয়নের বিপুল অংশে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন কোনো পুকুর নেই যাতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েনি। এছাড়াও দৈনন্দিন গৃহস্থালী কাজেও চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির, রহমত আলী ও ছবুর আহমদ বলেন, এই ইউনিয়নের বার আউলিয়া, দক্ষিণ গহিরা, পূর্ব গহিরা ও মালিপাড়া এলাকা জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এসব এলাকার সড়কের ওপরে প্রায় ৪-৫ ফুট পানি হয়েছে। জোয়ার-ভাটার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। দিনে দুইবার পুরো লোকালয় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কষ্টের সীমা নেই শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের।

রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জানে আলম বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেশকিছু কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। এখানকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বেড়িবাঁধের খোলা অংশ সংস্কার করা হলে অন্তত এই দুর্ভোগ থেকে জনসাধারণেরর কিছুটা মুক্তি মিলতো।

আরো সংবাদ