স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ইসরায়েলকে কাছে টানতে ফিলিস্তিনকে ভুলে গেল আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরপরই ১৯৭২ সালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের কথা ভেবে ইসরায়েল বয়কটের একটি আইন করেছিল। আইন অনুসারে ওই সময় অন্যান্য আরব দেশগুলোর মতো তাদেরও অবস্থান ছিল, শুধু ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার পরেই স্বীকৃতি দেয়া হবে ইসরায়েলকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে আমিরাতের সেই অবস্থান। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণ না হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টায় উন্মুখ দেশটি। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কথিত ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে আমিরাত-ইসরায়েলের মধ্যে। সেই ধারা আরও এগিয়ে নিতে ১৯৭২ সালের বয়কট আইন বাতিল করে ইসায়েলি ব্যবসায়ীদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে আরব আমিরাত।

রোববার আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, আবু ধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশে ইসরায়েল বয়কটের পুরোনো সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুসারে এখন থেকে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলো আমিরাতে ব্যবসার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি, ইসরায়েলি পণ্য কেনাকাটারও অনুমতি দেয়া হয়েছে এ নির্দেশনায়।

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এদিকে, আগামী সোমবার ইসরায়েলি পতাকাবাহী প্রথম বাণিজ্যিক বিমানটি আবু ধাবি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তারা আমিরাত যাচ্ছেন।

গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যে নতুন একটি চুক্তির কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এ চুক্তি অনুসারে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ভূমি অধিগ্রহণ স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।

তবে ফিলিস্তিনিরা চুক্তিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবি, এই চুক্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

আরো সংবাদ