স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

উত্তর কোরিয়ায় করোনা হলেই গুলি করে হত্যার নির্দেশ!

উত্তর কোরিয়ায় কারও করোনা হলেই তাকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এমন বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন কমান্ডার রবার্ট আব্রাহাম। তার দাবি, সংক্রমণ রুখতে করোনা আক্রান্তদের গুলি করে মারছে পিয়ংইয়ং।

গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাট্রেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ আয়োজিত একটি অনলাইন কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এ দাবি করেন আব্রাহাম। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকান ক্রনিকেলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হায়োছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এক মর্মান্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারি শাসক কিম জং-উন। রবার্ট আব্রাহামের দাবি, করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির চিকিৎসার বদলে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। এর জন্য একটি বিশেষ বাহিনীও তৈরি করেছে তার দেশ। তারাই করোনা আক্রান্তকে গুলি করে হত্যার দায়িত্বে রয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ উত্তর কোরিয়া। তাদের একমাত্র সহযোগী দেশ প্রতিবেশী চীন। সেদেশ থেকেই প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশ সামগ্রী আমদানি করে পিয়ংইয়ং। কিন্তু করোনা ঠেকাতে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই চীন সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া।

জুন মাসে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি চীন সীমান্তের ২ কিলোমিটার আগে নতুন বাফার জোন তৈরি করা হয়। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। তার প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই এখন কিমের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এখনই কোনো বড় সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না পিয়ংইয়ং।

যদিও এর আগে উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। খবরে বলা হয়, চীন থেকে দেশে ফিরেছিলেন ওই সরকারি কর্মকর্তা। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তাকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তবে কোয়ারেন্টিন শর্ত ভঙ্গ করায় তাকে মারা হয়।

আরো সংবাদ