বান্ধবীর সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রাম নগরে বান্ধবীর সহায়তায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরা হলেন, বন্দর থানার তিন নম্বর ফকিরহাট কাশিম মাঝির বাড়ির মৃত মো. বশিরের মেয়ে নুরী আক্তার, তার স্বামী মো. অন্তর ও মো. রাজীব।

তবে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চান মিয়াকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এক নম্বর সুপারিওয়ালা পাড়ায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ডবলমুরিং থানার এসআই নুরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় ফুফুর বাসায় বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। ফুফাতো বোনের বান্ধবী নুরী আক্তারের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। রোববার সন্ধ্যার পর নুরীর সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় ওই কিশোরী। তাকে কৌশলে আগ্রাবাদের সুপারিওয়ালা পাড়ার চান মিয়ার বাসায় নিয়ে যায় নুরী।

এরপর বাসায় আটকে রেখে চান মিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। নুরী বাইরে থেকে পাহারায় ছিলেন। পরে ওই কিশোরীকে ফুফুর বাসায় পৌঁছে দেয় নুরী। রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যায় স্বজনরা। রাত ২টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে ঘটনা শুনে অভিযান শুরু করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

ডবলমুরিং থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, রাতেই বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহায়তাকারী নুরী আক্তার ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ সোমবার ভোরে অভিযুক্ত চান মিয়ার বন্ধু রাজীবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। চান মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।