স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ৪

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বহু হতাহতের আশঙ্কা করছে পুলিশ।

তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে একজন সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপের মুন্নার বড় ভাই গিয়াস উদ্দীন বলে জানা গেছে।


চারজনের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ৯টায় উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালমান জানান, এখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানুষের চিৎকার আর গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। তবে এ মুহুর্তে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছে বলা মুশকিল।


এর আগে গত শনিবার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাতভর এই দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়।


রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পে ইয়াবা পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর সাথে আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলে আসছিল।
এর জের ধরে আজ সন্ধ্যা ৭টায় উভয় গ্রুপ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা উভয় গ্রুপের মাঝে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশিয় অস্ত্র নিয়েও উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।


এদিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চারজন নিহতের জেরে ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ও ৫ অক্টোবর ৩ জন রোহিঙ্গা হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।


তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আবারও রোহিঙ্গাদের দু’গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে কতজন হতাহত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

আরো সংবাদ