স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ওমানে রাউজান প্রবাসী মুছার মৃত্যু, একগুচ্ছ স্বপ্নের মৃত্যু

কিছুদিন পরই প্রবাস জীবন থেকে দেশে ফিরে বাবা-মা’কে হজ্বে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল রাউজান প্রবাসী আবু মুসা’র (২৪)। সেই সাথে বড় বোনকে বিয়ে দেওয়া এবং নতুন একটি ঘরও নির্মাণ করার স্বপ্ন ছিল তার। নতুন ভিসা করবে দেশে আসবে, কিন্তু তার কোন ইচ্ছাই পূরণ হলো না। একটি দুর্ঘটনায় সবকিছু থমকে গেলো। সোমবার ওমানে মর্মাত্মিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরদিন মারা যান আবু মুসা।

আবু মুসা রাউজান উপজেলার ৯নং পাহাড়তলি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শাহাদুল্লাহ কাজি বাড়ির মো. এজাহার মিয়ার ‍পুত্র। পরিবারের ৬ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট মুসাই ছিল সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী।

জানা যায়. মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সালতানাত অব ওমানের সালালা নামক স্থানে সবজি মার্কেটের সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল সে। সোমবার (৫ অক্টোবর) রাত ১২ টায় (বাংলাদেশ সময় ২ টা) কেরালা রাজ্যের এক সহকর্মীসহ মোটর সাইকেল যোগে কাজ থেকে ফেরার পথে একটি ল্যান্ড ক্রুজারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কেরালার ওই লোক মারা যায়। ল্যান্ড ক্রুজারের চাপায় গুরুতর আহত হয় মুসা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন (৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোর ৪ টায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে নিহত আবু মুসার বড় বোনের স্বামী মো. হাসান জানান, অস্বচ্ছল পরিবারে বাবা মা, ভাই-বোনের মুখে হাসি ফোটাতে গত ৪ বছর আগে ওমানে পাড়ি জমায় মুসা। অনেকদিন একটি দোকানে কর্মরত ছিল। বেশ কিছুদিন আগে দোকানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে সবজি মার্কেটের সেলসম্যান হিসেবে নতুন কাজ নেয়। ভালোই অবস্থান করছিল সেখানে। সামনে নতুন ভিসা করে দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু দেশে জীবিত আসা হলো না। আসবে মরদেহ। ওমানের কিছু প্রতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দেশে নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।

আবু মুসার এমন করুণ মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ। মুসার বাল্যবন্ধু ছাত্রনেতা মো. মনির উদ্দিন বলেন, মুসা আর নেই এটা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এইতো সেদিন একসাথে হাত ধরে স্কুলে গিয়েছি। একসাথে খেলাধুলা করেছি। আজ সে নেই। একজন ভালো বন্ধুকে হারিয়েছি।

আরো সংবাদ