স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ

ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা ১ মিনিট হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয় আকাশে আলোর ঝলকানি, থেমে থেমে পটকার আওয়াজ আর ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলে চিৎকার। বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন এবং পরিবার নিয়ে অন্যরকম এক আনন্দে মেতে উঠেছেন সবাই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই উদযাপন সীমাবদ্ধ আছে চার দেয়ালে আর বাড়ির ছাদে।

২০২১ বরণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেখা গেছে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদেই অবস্থান করছে মানুষ। একেকটি ছাদ থেকে একেরপর এক আকাশে ছুটে যাচ্ছে বর্ণিল আতশবাজি। এর পাশপাশি কেউ কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন ফানুস। কোন কোন ছাদে আছে সাউন্ড সিস্টেম, তাতে বাজছে গান। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনের ছাদে উৎসবের আয়োজন করার নিষেধাজ্ঞা ও আতশবাজি ফোটানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেদিকে কারও নজর নেই। এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। তাছাড়া গুলশান বনানী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপি’র দেওয়া অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে আছে – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে। গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে। একইভাবে উল্লেখিত সময়ের পর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না তাদের বর্ণিত এলাকায় আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

এছাড়া বিকাল ৫টার পর হাতিরঝিল এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনও বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনওভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া যাবে না।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেঁস্তোরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

আরো সংবাদ