বর্তমান বিশ্বে ক্ষুধার্ত ও দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে কোনমতে বেঁচে আছে অন্তত ৬৯ কোটি মানুষ। শুক্রবার বার্লিনে অনুষ্ঠিত অ্যাগ্রিকালচার মিনিস্টারস কনফারেন্সে এ কথা বলেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ফাও) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবাই একযোগে কাজ করলে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়া কঠিন হবে না।
কনফারেন্সে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের বার্তা দিয়েছে। চীনের কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী কু ডংইয়ু, যিনি ২০১৯ সাল থেকে ফাও-এর নেতৃত্বে আছেন তিনি বলেন, কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী যে প্রচেষ্টা চলছে সেটিকে সমর্থন করতে তার প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত।
তিনি ফাও-এর পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কিছু কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে এজেন্সির সিওভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রোগ্রাম, একটি অংশীদারিত্ব প্রকল্প এবং এর হ্যান্ড-ইন-হ্যান্ড উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হচ্ছে কৃষি রূপান্তর এবং টেকসই পল্লী উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃষিবিষয়ক কমিশনার বলেন, ২০৫০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হবে বিশ্বের প্রথম জলবায়ু সহনীয় প্রাকৃতিক মহাদেশ। সারাবিশ্বে নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে উন্নয়ন অংশীদার ও সহযোগী সব দেশকে পরিবেশবান্ধব জলবায়ু সহনীয় যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ৬৯ কোটি লোক ক্ষুধার্ত। এর মধ্যে ৮ কোটি লোক সরাসরি বাঁচার লড়াই করছেন। মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ফেডারেল সরকারের কারণে ১৩ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। কোভিডের কারণে অনেক অঞ্চলে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ২৭ কোটি মানুষ অভিবাসী হয়েছে। তবে কোভিড আমাদের পরাস্ত করতে পারেনি।