স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চিত্রশিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক আর নেই

মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক আর নেই।(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। আজ সকালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন । অসুস্থ হয়ে বেশ কিছু দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১।

ছবি আঁকার পাশাপাশি এই শিল্পী শিল্পকলাবিষয়ক অনেক বই লিখেছেন। আমাদের সৃষ্টিশীলতার জগতকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করেছেন। ডিইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য, বিএফইউজের সাবেক কাউন্সিলরও ছিলেন।

সৈয়দ লুৎফুল হক ১৯৪৯ সালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে আর্টিস্ট হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় যাত্রা শুরু। সর্বশেষ ছিলেন দি ইন্ডিপেন্ডেন্টে। বহু পুরুষ্কার জিতে অনবদ্য ক্যারিয়ার তাঁর। জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিইউজে-বিএফইউজের বেশির ভাগ প্রকাশনার নান্দনিক প্রচ্ছদ তাঁর হাতের ছোঁয়ায়। সংবাদপত্রের অলংকরণে ছিলেন অসাধারণ সৃজনশীল।

সৈয়দ লুৎফুল হক অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি যে এত কিছু করতেন তা অনেকেরই জানা ছিল না। গুণী এ মানুষটি প্রচারবিমুখ ছিলেন। শিল্পী ও লেখক এই দুই পরিচয়কে একসঙ্গে ধারণ করেছেন সৈয়দ লুৎফুল হক।

তিনি শিল্পকলাবিষয়ক ১০টি বইসহ ১৫টি গ্রন্থ লিখেছেন। নতুন প্রজন্মের জন্য লুৎফুল হক রচিত বইগুলো সম্পদ হয়ে থাকবে। শিল্পকলার নানা বিষয়ে তিনি গবেষণাধর্মী অনেক তথ্য যুক্ত করেছেন এসব গ্রন্থে। এছাড়াও তিনি বাংলা বর্ণমালার গ্রেডিং নিয়েও কাজ করছেন।

এক সাক্ষাৎকারে চিত্রশিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক তাঁর লেখালেখির জগতে আসা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমার লেখালেখি জগতে আসার কোনো কারণ ছিল না। তৎকালীন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক কবি আহসান হাবীব ভাই একদিন ডেকে বললেন, তুমি শিল্পী এস এম সুলতানের ওপর একটা লেখা দাও। হাবীব ভাইয়ের সেদিনের সেই উৎসাহ প্রদানের পর লেখালেখিটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। সেই থেকে আর থামিনি, এখনো কলম অব্যাহত রেখেছি।”

আরো সংবাদ