স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বাহুবর্ম পরে মাঠে নামা আম্পায়ারের অবসর

ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে একটি উদ্ভাবনের পথিকৃৎ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। বলের আঘাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রেখে আম্পায়ারিং করার জন্য বাহুবর্ম পরে নামা। এই বাহুবর্ম পরে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে দেখা যাবে না তাঁকে।

আজ বৃহস্পতিবার ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন অবসরের ঘোষণা দিয়ে। ৬০ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ানের ৬২ টেস্ট ম্যাচের ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ হয়ে রইল অস্ট্রেলিয়া-ভারত ব্রিসবেন টেস্ট। এ মাসেই ৩৩ বছর পর অস্ট্রেলীয়দের অজেয় এই দুর্গ জয় করে ভারত টেস্ট সিরিজ জিতে এসেছে ২-১ ব্যবধানে।

২০০৭-০৮ মৌসুমে আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত অক্সেনফোর্ড ২০১২ সালে উন্নীত হন এলিট প্যানেলে। ড্যারিল হার্পার, ড্যারেল হেয়ার, সাইমন টফেল, রড টাকার ও স্টিভ ডেভিসের পর অক্সেনফোর্ড ষষ্ঠ অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার যিনি ৫০টির বেশি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এর বাইরেও তিনি ছেলেদের তিনটি করে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপ পরিচালনা করেছেন। মেয়েদের দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। ‘আম্পায়ার হিসেবে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে আমি গর্বই অনুভব করি। এটা ভাবতেও অন্যরকম লাগে যে আমি প্রায় ২০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ চালিয়েছি। যখন আম্পায়ারিংয়ে আমার যাত্রা শুরু হয়,আমি ভাবতেও পারিনি যে এতদূর যাব।’

 স্ত্রী জো, ছেলে জেমস ও মেয়ে ক্রিস্টেনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অক্সেনফোর্ড বলেছেন, তাদের সমর্থন ও ত্যাগ না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।

খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে আটটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন অক্সেনফোর্ড, ছিলেন লেগস্পিনার। ব্যাট করতেন লোয়ার অর্ডারে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন কুইন্সল্যান্ডের হয়ে আটটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা সাবেক ক্রিকেটার। ছিলেন লেগস্পিনার, ব্যাট করতেন লোয়ারঅর্ডারে।

আরো সংবাদ