স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রামে সাড়ে ৪ লাখ করোনার টিকা ঢুকবে রোববার, মিলবে ১৫ স্পটে

চট্টগ্রাম নগরে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে ১৫টি কেন্দ্রে। নগরী ও জেলার জন্য প্রথম দফায় মোট ৪ লাখ ৫৬ হাজার টিকা আসছে রোববার (৩১ জানুয়ারি)।

শুরুতে অগ্রাধিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরাই এই টিকা পাবে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই টিকা চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওর তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এসব টিকা চট্টগ্রামে আসার পর সেসব রাখা হবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে। রেজিস্ট্রেশনের চাহিদা অনুযায়ী ইপিআই স্টোর থেকে সিটি কর্পোরেশন এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনমতো টিকা সরবরাহ করা হবে। সাধারণ ইপিআই কর্মসূচির মতো করেই দেওয়া হবে করোনার টিকাও।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরে প্রাথমিকভাবে ১৫টি টিকাদান কেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটি। এই ১৫ কেন্দ্রে করোনার টিকা দিতে নিয়োজিত থাকবে ৪২টি টিম। প্রতিটি টিমে থাকবেন ৬ জন করে সদস্য। এর মধ্যে দুজন মিড ওয়াইফ, স্টাফ নার্স বা সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং ৪ জন থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক। তাদের নিয়ে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে জেলা পর্যায়ের এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।

চট্টগ্রাম নগরীর যে ১৫টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে, সেগুলো হচ্ছে— চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সেনানিবাস হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিমান বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, চসিক বন্দরটিলা হাসপাতাল, চসিক মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, ইউএসটিসি হাসপাতাল, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় করোনার টিকা দেয়া হবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুটি করে টিম টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে।

তবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন বলেছেন, ‘রোববারের মধ্যে টিকা আসলেও লিখিত কোনো নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরুর সুযোগ নেই। মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলেই কেবল এ কর্মসূচি শুরু করা যাবে।’

করোনার টিকা পেতে অগ্রাধিকার তালিকাভুক্তদের অবশ্যই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টিকা পাবেন না। এজন্য ‘সুরক্ষা’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিন পেতে তালিকাভুক্তরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব এপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপটি বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময় কেন্দ্রও পছন্দ করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনকারী ব্যক্তি করোনার গ্রহণের তারিখ ও কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তার মোবাইল ফোনে পেয়ে যাবেন। নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি টিকা নিতে পারবেন।

আরো সংবাদ