স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

যারা নিতে পারবেন না কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে গর্ভবতী নারী, বুকের দুধ পান করাচ্ছেন, এমন মায়েদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকার কারণে আপাতত এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। কারও জ্বর থাকলে তাদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না।


শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু কারা এই সময়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবে না? — সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, অন্য কোনও অসুখের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না বলে কোনো নিষেধ নেই। কিন্তু সতর্কতার অংশ হিসেবে যারা গুরুতর অসুস্থ বা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদেরকে বলা হচ্ছে, এখনই যেন ভ্যাকসিন দিতে না আসেন। এছাড়াও ভ্যাকসিনদান বুথে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে একটি প্রশ্নোত্তর থাকবে, ভ্যাকসিনদান কর্মী সেসব প্রশ্ন জেনে-উত্তর পেয়ে তাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নির্বাচন করবেন।

তিনি বলেন, যদি কেউ মধ্যম থেকে গুরুতর মাত্রায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। তবে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন এবং তার সময়কাল যদি একমাস হয়ে থাকে তাহলে তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আমরা অতিরিক্ত সতর্ক থাকার জন্য যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি, তারা যেন চার সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন না নেন সেজন্য অনুরোধ করবো।


তিনি আরও বলেন, যাদের কোনো ওষুধে অ্যালার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে আমরা একটু সাবধান থাকতে চাই। যদিও কোনো ওষুধে অ্যালার্জি থাকলেই ভ্যাকসিনেও অ্যালার্জি থাকবে তা নয়। কিন্তু তারপরও এই ভ্যাকসিন যেহেতু নতুন, তাই যাদের ওষুধে অ্যালার্জি রয়েছে তাদেরকে এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন দেব না।


সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য রাজধানীর ৫০টি হাসপাতাল ও রাজধানীর বাইরে ৯৫৫টি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য কাজ করবে দুই হাজার ৪০০ টিম। তবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম।


ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবেও বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

আরো সংবাদ