স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

অক্সফোর্ড টিকার ডোজের ৩ মাসের ব্যবধানে কার্যকারিতা বেশি: গবেষণা

অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুই ডোজের ব্যবধানের সময় ছয় সপ্তাহের চেয়ে তিন মাসে বেশি কার্যকর। নতুন একটি গবেষণায় এই দাবি করে বলা হয়েছে, দুই ডোজের ব্যবধানের মধ্যবর্তী সময়ে প্রথম ডোজ করোনার বিরুদ্ধে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে।

বিখ্যাত মেডিক্যাল সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করোনার বিরুদ্ধে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান তিন মাস পর্যন্ত নিরাপদে বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন। তারা বলেছেন, ভ্যাকসিন সরবরাহ প্রাথমিকভাবে সীমিত হওয়ায় ডোজের ব্যবধানের সময় বৃদ্ধি সুবিধা বয়ে আনবে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে অধিকসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে অতিদ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে।

গবেষক দলের প্রধান ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, স্বল্পমেয়াদের জন্য হলেও ভ্যাকসিনের সরবরাহ সীমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জনস্বাস্থ্যের সর্বাধিক উপকারিতা লাভের জন্য কীভাবে ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহ করতে হবে; সেবিষয়ে অবশ্যই নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

পোলার্ডের বিশ্বাস, দুই ডোজের মাধ্যমে অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার পরিবর্তে অধিক সংখ্যক মানুষকে এক ডোজ দেওয়া হলে তাতে বৃহৎ সুরক্ষা তৈরি হবে। বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে যেখানে অক্সফোর্ডের টিকার সরবরাহ সীমিত।

গবেষণায় অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিভিন্ন ব্যবধানের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা এবং ঝুঁকির বিষয়টি মূল্যায়ন করেছেন গবেষকরা। এছাড়া এক ডোজে কার্যকারিতার হার এবং দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষার সময়ে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় কিনা সেটিও মূল্যায়ন করেছেন তারা। এ জন্য ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৭ হাজার ১৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

আরো সংবাদ