স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দুবাই আন্তর্জাতিক গালফ ফুড মেলা পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

গালফভুক্ত দেশগুলোর আয়োজনে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে গত ২১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক গালফফুড মেলা।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য প্রদর্শন করার লক্ষে ২৫ টি বুথ নিয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ৪০টি খাদ্য রপ্তানি কোম্পানী সুসজ্জিত প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে অংশগ্রহন করে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিদেশী ক্রেতাদের মাঝেও ব্যাপকভাবে সাড়া মিলেছে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য পণ্য রপ্তানিতে অপার সম্ভাবনার দ্বার আরো উম্মোচিত হয়েছে বলেও মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

করোনা কালীন সময়ে এ দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মেলায় বিশ্বের প্রায় ৮৫ টি দেশের ক্রেতার সমাগম ঘটে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মেলায় বিভিন্ন কোম্পানি বা রপ্তানীকারকরা যেমনিভাবে এসেছেন। তেমনিভাবে এসেছেন ক্রেতারাও।

গত বুধবার মেলা পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর স্টল পরিদর্শন করেন এবং খোঁজ-খবর নেন। এ মেলায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের খাদ্য পণ্য রপ্তানীর বাজার স¤প্রসারণসহ রপ্তানী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খানসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন, আন্তর্জাতিক গালফফুড মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের পণ্য সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে আমরা যদি আমাদের পণ্য ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে এ রকম মেলার মাধ্যমেও সারা পৃথিবীতে আমাদের পণ্যের বিরাট একটি বাজার সৃষ্টি হবে।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান বলেছেন, গালফফুড এক্সিবিশন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বড় একটি মেলা। তিনি বলেন, কোভিড ১৯ এর কারণে মেলায় ভিড় কম থাকলেও এবছর জেনুইন কাস্টমাররা বেশি এসেছিল। ফলে মেলায় আমাদের যারা অংশ নিয়েছিল তারাও অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য গালফফুড মেলায় আমরা আরো বড় পরিসরে এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।

মেলায় অংশ নেয়া ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ মেলার মাধ্যমে নতুন নতুন ক্রেতা যেমন মিলেছে তেমনিভাবে পাওয়া গেছে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্যের অর্ডারও। এতে বিস্তৃতি লাভ করছে বাংলাদেশী খাদ্য পণ্যের বাজার। তাছাড়া এ এক্সিবিশনের মাধ্যমে যেনমিভাবে ব্যবসার প্রসার ঘটে তেমনিভাবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার অনন্য এক ফ্লাটফর্মও বলে মনে করেন তারা।

আরো সংবাদ