স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আজ থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা

 ‘কঠোর স্বাস্থ্যবিধি’ প্রতিপালন সাপেক্ষে লকডাউনের মধ্যেও দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে জানায়, শুক্রবার অর্থাৎ আজ ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে সরকার।

কভিড-১৯ প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিংমল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ নানা ক্ষেত্রের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।

বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হয়।

এদিকে পয়লা বৈশাখ ও রোজার আগে দোকান-পাট খুলে দিতে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে দোকান ও শপিংমল খোলার নির্দেশনা এলো।

অন্যদিক সরকার ঘোষিত বিধি-নিষিধের চতুর্থ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে স্বাভাবিক ছিল গণপরিবহন চলাচল। তবে সকালের অফিস সময় শেষ হওয়ার পর অধিকাংশ পরিবহনে তেমন একটা যাত্রী দেখা যায়নি। পরিবহন চালকরা জানান, মানুষ একান্ত বাধ্য না হলে গণপরিবহনে উঠছে না। করোনার কারণে তারা গণপরিবহন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। এ কারণে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

সকালে অফিস সময়ের আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি পরিবহনে পর্যাপ্ত-সংখ্যক যাত্রী রয়েছেন। তখন কোনো কোনো পরিবহনকে প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা গেছে। কিন্তু সকাল ১০টার পর এ চিত্র উল্টে যায়। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহনের পরও এর অর্ধেক ফাঁকা ছিল।

আরো সংবাদ