স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনা প্রতিরোধে সফল ইসরায়েল

বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রতিরোধে সফলতা দেখাল ইসরায়েল। দ্রুত টিকাদানের ফলে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে শূন্যে। দেশটিতে গত ১০ মাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। ফাইজার–বায়োএনটেকের তৈরি টিকা ব্যবহার করে ইসরায়েল।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৯০ লাখ জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশের বেশি মানুষকে করোনার টিকার দুই ডোজই দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউলি এডেলস্টাইন গতকাল শুক্রবার বলেন, ইসরায়েলি জনগণ ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য এটা অভাবনীয় সাফল্য। একসঙ্গে আমরা করোনাভাইরাস নির্মূল করছি।

বিশ্বের মধ্যে ইসরায়েলে টিকাদানের হার সর্বোচ্চ। গত বৃহস্পতিবার ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করে দেশটি। এর ফলে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষকে টিকা দিল ইসরায়েল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ফাইজারের টিকার দুই ডোজ নেওয়ার ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের পর এবার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ৮ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৪৬ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত বছরের জুনের শেষে করোনায় দৈনিক মৃত্যু সর্বশেষ শূন্যে নেমে এসেছিল ইসরায়েলে। মহামারির প্রথম ধাক্কা সামাল দিতে আরোপিত লকডাউনের পর এমনটি ঘটে।

এ বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণের মাত্রা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে ইসরায়েলে। এরপর সংক্রমণের মাত্রা কমতে থাকলে এক মাস পর লকডাউন কড়াকড়ি শিথিল করা শুরু করে দেশটির সরকার। পাশাপাশি দেশজুড়ে মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় হাসপাতাল সেবা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ইয়াল লেশাম বলেন, দেশ এখন শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জনের কাছাকাছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যার বড় অংশের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলে সুরক্ষা তৈরি হয় এবং ভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ হতে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শক্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জনসংখ্যার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন।

আরো সংবাদ