স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২২৭

ফিলিস্তিনের গাজায় ১১ দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৭ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে ৬৪ শিশু ও ৩৮ নারী রয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও নেতানিয়াহু আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত’ নেতানিয়াহু হামলা চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, পশ্চিম তীরের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের একের পর এক রকেট হামলায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও পানির। কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সেখানে মানবিক তহবিলের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক টুইটে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানকার বাড়িঘর ও জরুরি স্থাপনাগুলো তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত দ্রুত মানবিক তহবিল গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা।

ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর রকেট হামলায় অসংখ্য নিহতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। যার কারণে সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ টেস্ট। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডক্টর আশরাফ আল-কিদরার বরাতে আল জাজিরার সাংবাদিক সামি আবু সেলিম বলেন, শুধুমাত্র একটি ল্যাবে কোভিড টেস্টগুলো করা হতো।

ইসরায়েলি হামলার কারণে তা বন্ধ হয়ে আছে। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে বোমা ও রকেট হামলা থেকেও বিপজ্জনক কিছু অপেক্ষা করছে ফিলিস্তিনিদের জন্য। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ইতিমধ্যে গাজায় ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। যাদের জরুরি ওষুধ প্রয়োজন তারা ভীষণ বিপদে পড়েছেন। সেইসঙ্গে ঝুঁকিতে পড়বেন করোনা আক্রান্তরা।

আরো সংবাদ