স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মডার্নার টিকার প্রথম চালান কানাডায়

কানাডায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও করোনাকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে কানাডায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত টিকা প্রদান করতে শুরু করেছে। এবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার তৈরি টিকার প্রথম চালান পৌঁছেছে দেশটিতে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কানাডা মডার্নার টিকা পেলো। ১৮ ডিসেম্বর মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এফডিএ) এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরের শেষ হওয়ার আগেই কানাডাকে এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা সরবরাহ করছে মডার্না। সেটির অংশ হিসেবে প্রথম চালানের টিকা পেলো দেশটি।

এক টুইটে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এ মাসের শেষে যে এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা পাওয়ার কথা, তারই অংশই এটি। মডার্না আমাদের মোট ৪০ মিলিয়ন ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বুধবার কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ মডার্নার টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তারা জানায়, মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির এ টিকা সুরক্ষিত, কার্যকরী এবং প্রয়োজনীয় মানযুক্ত।

অন্যদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ হাজার ৭১৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন।

আরো সংবাদ