স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

জিয়ার স্ত্রী, পুত্ররা পাকিস্তানি ক্যান্টনম্যান্টে আশ্রয় পেলেন কীভাবে প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পেলেও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দুই ছেলে কীভাবে পাকিস্তান ক্যান্টনম্যান্টে আশ্রয় পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি সেক্টরের কমান্ডার, আর উনার স্ত্রী আর পুত্ররা পাকিস্তানিদের ক্যান্টনম্যান্টে আশ্রয় পেলেন- এটা কীভাবে সম্ভব?

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান ‘ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন’ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছেন জিয়া। যারা বাংলাদেশ চায়নি, পাকিস্তানিদের পক্ষ হয়ে গণহত্যা করেছে, তাদের তিনি শুধু পুনর্বাসিত করেননি, তাদের তিনি মন্ত্রীও বানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর এ জবাব আসে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ সাক্ষ্য দেয় মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে এবং পরবর্তী জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ড সাক্ষ্য দেয়, তিনি আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। সেই কারণেই জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রসঙ্গ এসেছে।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক সমাজ’ ২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের যে দাবি জানিয়েছে, সে বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বহু নাগরিক আছে, শুধু কয়েকজন মিলে দাঁড়িয়ে বললে সেটিই করতে হবে- তা কিন্তু নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাগরিক বলতে শুধু কয়েকজন যারা বক্তৃতা করেছেন, যারা সব সময় সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেন- তাদের বোঝায় না। বাংলাদেশে আর বহু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আছেন- হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ, আরও বহু নাগরিক আছেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। যখন এই ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না, তখন আইনের প্রয়োগও ছিল না। যখন ডিজিটাল বিষয়টা এসেছে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টাও এসেছে।

এ ধরনের আইন ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন,এ আইনের বলে সেখানেও শাস্তি হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে এই আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি এবং থাকব।

হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো আইনের বলে যদি কেউ গ্রেপ্তার হয় এবং তিনি যদি কারাগারে কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করেন, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় বা কোনো কারণে মৃত্যু হয়। সেই আইন যদি তাহলে বাতিল করতে হয়, তাহলে তো বাংলাদেশে সব আইন বাতিল করার কথা আসে। কারণ অন্যান্য আইনেও মানুষ গ্রেপ্তার হয় এবং কারাগারে নানা কারণে মৃত্যু হয়। তাহলে সেসমস্ত আইনও বাতিল করে দিতে হবে?

জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের উদ্যোগ নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বটে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ ছিল।

আরো সংবাদ