স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাব : সারাদেশে ৩ জনের প্রাণহানি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে ডুবে এবং গাছ চাপা পড়ে তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ফেনী ও বরগুনায় পানিতে ডুবে মারা গেছে ২ জেলে এবং গাছ চাপায় এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে ভোলায়।

ফেনীর সোনাগাজীতে মঙ্গলবার (২৫ মে) মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে ডুবে হাদিউজ্জামান নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের শেখপাড়া গ্রামে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছোট ফেনী নদীর বাইরের চরে ১০ থেকে ১২ জন জেলে মাছের পোনা ধরতে যায়।

অন্যদিনের থেকে ৪-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে অন্যরা বাঁচতে পারলেও হাদিউজ্জামান নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।

একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গাছ চাপা পড়ে আবু তাহের (৪৮) নামে এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। ভোল লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের মৃধার চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবু তাহের, স্থানীয় গফুর পাটোয়ারীর ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, রাতে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। এসময় প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে বাগানের একটি রেইনট্রি গাছের ডাল ভেঙে তার গায়ে পড়লে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্তা গুরুতর দেখে চিকিৎসকরা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

ইয়াসের প্রভাবে আরো একটি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে বরগুনা জেলার বামনায়। মঙ্গলবার রাতে মাছ শিকার করতে গিয়ে নান্না জোমাদ্দার (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ডৌয়াতলা গ্রামের মতি জোমাদ্দারের পুত্র।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নান্না মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশের হোতাখালে মাছ শিকার করতে গেলে হঠাৎ খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন।

আরো সংবাদ