স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

পাগলা মসজিদের দান বাক্সে মিললো পৌনে দুই কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবারো মিলেছে পৌনে দুই কোটি টাকা। শনিবার দিনব্যাপী গণনা শেষে বিকালে এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। এছাড়াও দানবাক্সে অনেক স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

করোনার কারণে এবার ছয় মাস সাতদিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হলো। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকা বস্তায় ভরা হয়। ছোট-বড় ১২টি টাকাভর্তি বস্তা নেয়া হয় মসজিদের দোতলায়। এরপর মসজিদের মেঝেতে রেখে গণনার কাজ শুরু হয়। বিকাল ৫টায় গণনা শেষে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।

টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় জমা রাখা হয়েছে।

দানকৃত টাকায় পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় ব্যাংকে। দানের টাকা থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদেরকেও সহায়তা দেওয়া হয়।

সাধারণত তিন মাস পরপর দানবাক্স খোলা হয়। তবে এবার করোনা মহামারির কারণে দেরিতে এগুলো খোলা হয়।

আরো সংবাদ