স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বোয়ালখালীর সুমিষ্ঠা রায় মুসলিম হয়ে এখন ফাহিমা, থাকছেন নিজ পরিবারেই

স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছেন এক তরুণী। সেই সঙ্গে হিন্দু নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন মুসলিম নামও। ধর্মান্তরিত হবার পর ১২ দিন বাইরে থাকলেও গত সোমবার (২৪ আগস্ট) থেকে আবারো যুক্ত হয়েছেন নিজ পরিবারের সাথে।

পরিবারও মেয়ের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বিয়ে ও চাকরির ব্যাপারে দিয়েছেন সহযোগিতার আশ্বাস।

ঘটনাটি বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর এলাকার।

গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কহিনুর আকতারের আদালতে হাজির হয়ে হলফনামামূলে তিনি ধর্মান্তর হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন৷ সুমিষ্ঠা রায় নিজের নাম রাখেন ফাহিমা জান্নাত।

ফাহিমা জান্নাত চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর এলাকার অনিল রায়ের মেয়ে।

ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়েই সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।

বড়ভাইয়ের মুঠোফোনে কথা হয় ফাহিমা জান্নাতের সাথে। তিনি বলেন, “প্রথমে মনে করেছিলাম পরিবারের কেউ সাপোর্ট করবে না৷ গতকাল বাড়িতে আসার পর থেকে সবাই আমাকে মেনে নিয়েছে। তারা আমাকে নামাজ পড়ার জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়াও তারা আমাকে ইসলামিক বই ও কুরআন শরীফ এনে দিবেন বলেও জানিয়েছেন।”

এদিকে পরিবার মেনে নেয়ার কথা বললেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবার থেকে হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

ওই তরুণীর সাথে কথা বলতে বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে ফোন দিলে এসব অভিযোগের বিষয়ে কিছুটা আঁচ করা যায়। শুরুতে এ বিষয়ে ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলার বিষয়টি জানালে তিনি ১০-১৫ মিনিট পর ফোন দিয়ে ওই তরুণীর সাথে কথা বলিয়ে দেন।

কথা প্রসঙ্গে পরিবারের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে কথা শেষ না হতেই ওই প্রান্ত থেকে ফোন কেটে দেয়। পরে আরও বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও ওই তরুণীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক সজীব বলেন, “অনেকের মাঝে ছড়িয়েছে যে মেয়েটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণে পরিবার তার সাথে হুমকি স্বরুপ আচরণ করছে। তাই আমি নিজেই মেয়েটির সাথে কথা বলেছি। মেয়েটি নিজেই বলেছে সে পরিবারের সাথে ভালই আছে। তার পরিবার তাকে সহযোগিতা করছে। তার বাবার সাথেও কথা বলেছি। তার বাবাও বলেছে মেয়েকে একটা ভালো চাকরি পেয়ে দিতে সহযোগিতা করবে এবং মেয়ের ইচ্ছে অনুযায়ী ও  পছন্দ মতো মুসলিম পরিবারের ছেলের সাথেই বিয়ে দিবেন।”

আরো সংবাদ