স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রামে ২৭০ পাসপোর্টসহ পাঁচজনকে ধরে ৩ জনকে ছেড়ে দিল পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকার একটি বাসা থেকে ২৭০টি পাসপোর্টসহ পাঁচজনকে আটকের পর তিনজনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে আগ্রাবাদের পাঠানটুলিতে প্র‍য়াত আশরাফ খানের বাড়ির দোতলার ভাড়াটিয়া আব্দুল করিমের বাসা থেকে তারেক কবির ও নুরুল ইসলাম নামে দুই যুবককে ২৭০টি পাসপোর্টসহ পুলিশ আটক করে বলে জানায়।

তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডবলমুরিং থানার এসআই তারেক। তিনি ২৭০টি পাসপোর্টসহ তারেক কবির ও নুরুল ইসলামের পাশাপাশি বাসার মূল ভাড়াটিয়া আব্দুল করিম এবং তার স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তানকেও আটক করে থানায় নিয়ে যান। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তাদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে আজ রাত ৯ টার দিকে জানতে চাইলে এসআই তারেক বলেন, ‘আমি অভিযানে গিয়েছি ঠিক। তবে সেখানে আমার সিনিয়র অফিসারও ছিলেন।’ ভাড়াটিয়া আব্দুল করিমের বাসা থেকে কতজনকে আটক করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি ‘মনে করতে পারছি না’ বলে এ থানার ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

স্থানীয়রা জানান, ভাড়াটিয়া আব্দুল করিম ২০০০ সালে দোতালার বাসাটি ভাড়া নেন। দুই বছর আগে চারতলা ভবনটি কিনেছিলেন আশরাফ খান। তিনি এখন জীবিত নেই। তিন বেডরুমের বাসাটি ভাড়া নিয়ে আব্দুল করিম ‘সেইম পার্লার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। সেটি তার স্ত্রী পরিচালনা করেন।

নগরের লালদিঘি এলাকায় আব্দুল করিমের একটি ট্রাভেল এজেন্সি আছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া তারেক কবীর তার মেয়ের জামাই। নুরুল ইসলাম ওই ট্রাভেল এজেন্সি’র কর্মচারী।

অভিযোগ আছে, আব্দুল করিম মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে নিজের মেয়ের জামাইকে নিয়ে ভূয়া পরিচয়ে এনআইডি, পাসপোর্ট বানিয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের পাচার করে আসছেন।

এদিকে এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা হয়নি। আগামীকাল বুধবার মামলা দায়ের হবে বলে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাস।

তিনি বলেন, জব্দ করা ২৭০টি পাসপোর্ট এর বিষয়ে কিছুই জানেন না আব্দুল করিম। তারেক কবীর তার মেয়ের জামাই। আটক হওয়া অন্যজন তার মেয়ের জামাই’র প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তবে তারেক কোন প্রতিষ্ঠানের মালিক তা তিনি নিশ্চিত করেননি৷

ওসি সদীপ বলেন, এতগুলো পাসপোর্ট তারা কোথা থেকে পেল সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। আটক হওয়া তারেক ও নুরুল ইসলাম বান্দরবান জেলার বাসিন্দা।

আরো সংবাদ