স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

নতুন বছরকে বরণ করতে গিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু

সারা বিশ্বে নতুন বছরকে বরণ করা নিয়ে থাকে বাড়তি আগ্রহ আর উন্মাদনা। এবার করোনা মহামারিতে উৎসব সীমিত আর নানা নিষেধাজ্ঞায় হলেও বর্ষবরণে নানা দূর্ঘটনায় মারা গেছেন অন্তত ১৩ জন। বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি আর উন্মাদনা করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন অনেক।

আল জাজিরা জানায়, এবারের বর্ষবরণের সবচেয়ে মর্মান্তি ঘটনাটি ঘটেছে বসনিয়ায়। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি কটেজে নিউ ইয়ার পার্টি আয়োজন করে আটজন নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কার্বন মনোঅক্সাইড বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই মাধ্যমিক স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

বসনিয়ান এবং ক্রোয়েশীয় প্রচার মাধ্যম বলেছে যে তারা যেই বাসায় উৎসব করছিল সেখানে কার্বন মনোক্সাইড লিক হয়ে তারা মারা গেছে। এক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে তারা ঘরকে গরম রাখতে যে জেনারেটর ব্যবহার করছিল সেটি থেকে কার্বন মনোক্সাইড লিক হয়ে দূর্ঘটনা ঘটেছে। কার্বন মনোক্সাইড একটি গন্ধহীন, বর্ণহীন এবং স্বাদহীন গ্যাস যা আকস্মিকভাবে মানুষকে অসুস্থ করতে পারে এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে।

এদিকে এবিসি নিউজ জানায়, নতুন বছরের প্রথম ঘন্টায় টেক্সাসের আর্লিংটনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৪ বছরের এক বালক নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, মধ্যরাতে নতুন বছরকে বরণ করতে গিয়ে বন্দুক নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করার সময় গুলিবিদ্ধ হয় শিশুটি।

পুলিশ জানায়, মসীহ ট্যাপলিন নামে ছেলেটিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলি করা হয়। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১ টায় শিশুটি স্থানীয় হাসপাতালে মারা যায়।

আল জাজিরা জানায়, লকডাউনের মধ্যে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় ইতালিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৮ জনকে। এ ছাড়াও ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে আতশবাজি বিস্ফোরণে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জার্মানিতে বাড়িতে তৈরি আতশবাজি বিস্ফোরণে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় ওসনাব্রুয়েক শহরে আরও একটি ঘটনায় আতশবাজি বিস্ফোরণে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার জীবন সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

ইরাকে নিউ ইয়ারের উৎসবে আতশবাজির কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

তুরস্কে নরওয়েজিয়ান ফুটবলার ওমর এলাবডেল্লাউই আতশবাজি নিয়ে দুর্ঘটনার পরে চোখের ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার দুই চোখেই আঘাত লেগেছে। তবে একটি চোখের আঘাত গুরুতর।

আরো সংবাদ