স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

পাগলা মসজিদে দানবাক্সে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা

এবার  ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২২ আগস্ট দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন  ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর পাঁচ মাসের মাথায় সিন্দুক খুলেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তাতে পাওয়া গেলো দানের হিসাবে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ অংক।

শনিবার ( ২৩ জানুয়ারি ) সকাল ১০টায় মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। প্রথমে সিন্দুকের ভিতরে থাকা দান সামগ্রী ১৪টি বস্তায় ভরা হয়। পরে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গণনার কাজ শুরু হয়। টাকা গণনায়  মসজিদ-মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন। প্রতিবারের মতো এবারো দানে নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

পাগলা মসজিদের টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।  আর কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ ও মো. ইব্রাহীম, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ জানান, দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে পাওয়া গেছে। রূপারী ব্যাংকে টাকাগুলো জমা করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম।

আরো সংবাদ