স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রবাসে নতুন শ্রমবাজার প্রস্তুতের প্রস্তাবনা

দেশের যুব সমাজকে দক্ষজনশক্তিতে রূপান্তরিত করে বিশ্বের শ্রমবাজারকে বাড়ানোর প্রসঙ্গে গত রোববার আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফরেন অ্যামপ্লয়মেন্ট কাউন্সিল (বিএফইসি)। সভায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নতুন শ্রমবাজার প্রস্তুতের প্রস্তাবনা তুলে ধরে সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা।

তারা জানান করোনা পরবর্তী বিশ্বের কাজের ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা গেলে আগামী এক দশকে এই খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সম্ভব।  

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ফরেন এমপ্লয়মেন্ট কাউন্সিলের চিফ পেট্রোন এবং বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, শ্রমবাজারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সব অংশীদারকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চায় সরকার। এ জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে দক্ষ রেমিটেন্স তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ফরেন অ্যামপ্লয়মেন্ট কাউন্সিলকে তাগিদ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

ফরেন রেমিটেন্স ২০ বিলিয়ন ডলারের মত আছে। সংগঠনের সদস্যদের মতামত অনুযায়ী এই রেমিটেন্সকে আগামী ১০বছরের মধ্যে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব। এ জন্য নির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনার উপর জোড় দেন তারা। এ খাতে উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করবে বিএফইসি।

বাংলাদেশ ফরেন অ্যামপ্লয়মেন্ট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এম নাঈম হোসেন বলেন, লেবার শ্রেণীতে কাজ করেন ৯৮ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশের যে রেমিটেন্স আয়ের বেশিরভাগ আয় চলে আসে। আমরা আমাদের কাউন্সিলের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা করে দেখেছি ২ শতাংশের জায়গায় ৩৫-৪০ শতাংশ উন্নতি করা যায় তবেই আমাদের ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করা সম্ভব। সেই পরিকল্পনা তৈরিতেই আমাদের এই সভা।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ফরেন এমপ্লয়মেন্ট কাউন্সিল এর চিফ পেট্রোন ড. এ. কে.আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে একটা দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই আয়কে ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। 

আরো সংবাদ