স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মদিনায় অগ্নিকাণ্ডে লোহাগাড়ার দুই সহোদরের করুণ মৃত্যু

সৌদি আরবের মদিনা নগরীর অদুরে একটি সোফা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুই সহোদরসহ ৭ বাংলাদেশীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

নিহত দুই সহোদর লোহাগাড়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ সুখছড়ী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাম্বির পাড়ার সুলতান আহমদের পুত্র। বর্তমানে তাদের মরদেহ মদিনার কিং ফাহাদ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

মদিনায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ বাংলাদেশী নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মোহাম্মদ মহসীন হোসেন।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে সৌদি আরবের মদিনা নগরী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে আল খলিল এলাকায় একটি সোফা কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে,  বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তাদের মা হালিমা বেগম। বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। এসময় পরিবারটিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

স্থানীয় লোহাগাড়া সদর ইউপি সদস্য নুরুল কবির জানান, সুলতান আহমদের দুই ছেলে, দুই মেয়ে । দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তিন বছর আগে তার বড় ছেলে মিজানুর রহমান সৌদি আরব যান ভাগ্যবদলের আশায়। গত বছরের প্রথম দিকে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর কিছুদিন আগে এনজিও থেকে ঋণ এবং আত্মীয়-স্বজন থেকে ধার-দেনা করে ছোট ছেলে মানিককেও সৌদি আরবে পাঠান। সেখানে দুই ভাই আলাদা জায়গায় কাজ করতো। ঘটনার দিন মানিক তার বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানেই মধ্যরাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলে বাংলাদেশী সাত নাগরিকসহ দুই সহোদরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।

নিহতদের বাবা সুলতান আহমদ বলেন, অনেক কষ্ট করে পরিবারের সুখের আশায় দুই ছেলেকে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলাম। এখন আমার দুই ছেলেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। পরিবার নিয়ে দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার উপার্জনক্ষম এখন আর কেউ রইলো না।

দুই সহোদরের এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরো সংবাদ