স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

জর্ডানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন

বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ পালিত করেছে।

প্রত্যূষে এই দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় রাষ্ট্রদূতের সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাস কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি যাপন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় ।

জর্ডানে কোভিড জনিত বাধ্যবাধকতার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, ১৭ই মার্চ বাংলাদেশীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন বাঙ্গালির মুক্তির মহা নায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কোন পরাধীন জাতি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীনতার আস্বাদ গ্রহণ করতে পারে না যতক্ষণ না একজন বিচক্ষণ ও সাহসী রাষ্ট্রনায়ক এবং নেতার আগমন না ঘটে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য এমনই একজন বিচক্ষণ, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সাহসী রাষ্ট্রনায়ক এবং নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন যার জন্ম বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।

রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশীদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের মানচিত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি ছিলেন বাঙ্গালির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি সেকুলার দেশ এবং একটি উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।

আরো সংবাদ