স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ফ্লাইটের শিডিউল অনিশ্চয়তা, প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ !

বিদেশে কর্মরত প্রবাসী কর্মীদের বিক্ষোভ ও দাবির মুখে চার দিন আগে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট চালু হয়েছে। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না।

কর্মস্থলে ফিরতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইটের শিডিউল নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন হচ্ছে প্রায়ই, কিন্তু জানানো হচ্ছে না যাত্রীদের। ফলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই লকডাউনের মধ্যে আগত প্রবাসী কর্মীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। একটি করোনা টেস্ট করার পর তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ৭২ ঘণ্টার হালনাগাদ নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্টের জন্য আবারও করতে হচ্ছে টেস্ট। বারবার করোনা টেস্টে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে তাদের।

লকডাউনের কারণে এয়ারলাইনসগুলোর নিয়মিত ফ্লাইট যাচ্ছে বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে। কিন্তু লকডাউনের পূর্বে ঘোষিত যেসব ফ্লাইট যাচ্ছে না এবং নতুন ফ্লাইটের তথ্য জানানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

এ বিষয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদুল আহসান বলেন, কিছুটা সমস্যা হলেও এটা ঠিক হয়ে যাবে। দুর্ভোগ এড়াতে মফস্বল এলাকা থেকে আগত যাত্রীরা এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে এই সমস্যা থাকার কথা নয়।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট চালুর চতুর্থ দিনে ১০৬ জন যাত্রী নিয়ে সিঙ্গাপুরে গেছে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট। প্রতি মঙ্গলবার-বৃহস্পতিবার ও শনিবার সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট চলবে। গতকাল মঙ্গলবার ১৫টি বিশেষ ফ্লাইট গেছে স্ব-স্ব গন্তব্যে।

আজ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাদার্ন এয়ারলাইনস ঢাকা-চীন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বলেন, বিশেষ বিবেচনায় ঢাকা থেকে চীনে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের নাগরিকেরা কাজ করছেন। সেটা বিবেচনায় নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মফিদুর রহমান বলেন, আজ বুধবার থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাদার্ন এয়ারলাইনস বিশেষ বিবেচনায় ঢাকা-চীন ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্দেশনাগুলো তাদের যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ থেকে এখন চীনসহ ছয়টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট চলবে।

লকডাউন চলাকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে না আসার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলোকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস এক জরুরি বার্তায় সেদেশে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্দেশে বলেছে, লকডাউনে কেবল জরুরি প্রয়োজনেই দেশে ফেরা যাবে। তবে দেশে ফিরতে আগ্রহীদের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে এবং দেশে ফিরে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। প্রবাসীদের জন্য একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে আবুধাবির বাংলাদেশ মিশনও।

আরো সংবাদ