স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রেমিটেন্সে ৪% প্রনোদনার কথা জানালেন -মন্ত্রী ইমরান আহমেদ

প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স ২% থেকে ৪% এ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সরকার এর বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদক।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এনআরবি সিআইপিদের অসোসিয়েশন দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল বিজনেস সামিট উদ্বোধন কালে তিনি কথা জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন প্রবাসীরা ইকোনোমি জোনে ইনভেস্ট করতে চাইলে সরকার সেখানে সাহায্য করবে। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুবাইতে ২ দিন ব্যাপি এনআরবি সিআইপি অসোসিয়েশন আয়োজনে বিজনেস সামিটে উদ্বোধনী অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, কূটনৈতিক কর্মকর্তাসহ ২০০ টিরও বেশি বিনিয়োাগকারী এবং সারা বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সুযোগ, উদ্ভাবন, ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং অর্থনৈতিক মিরাকেলস নিয়ে আলোচনা করেন।উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, আমাদের প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ২৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স তারা মহামারি চলাকালীন সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত করতে সাহায্য করেছে।
দেশের বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.২% হবে; ২০২১ কোভিড অর্থবছরে বৈদেশিক বাণিজ্য ছিল ৯৭ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরকদের সম্মানীত করে। তাদের মর্যাদাপূর্ণ বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মর্যাদা প্রদান করে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানের স্বীকৃতি।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ মিলিয়নেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত $১.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রæততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে আছে।মন্ত্রী বলেন, সরকারের জনগণপন্থী নীতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি কৌশল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের জনগণ ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। এগুলো আমাদের সাফল্যের রহস্য। এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান বলেন, ‘এনআরবিরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদানকারী। শুধু রেমিটারের হিসাবেই নয়, বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশ পণ্যের আমদানিকারক হিসেবেও (তারা যে দেশে বসবাস করে) তাদের অবদান রয়েছে। এনআরবিরা বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে। আগামীতেও এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশন দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করবে।’সামিটে দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই সামিট বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিমুখী বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।

আরো সংবাদ