নতুন নির্দেশনা দিল সৌদি প্রবাসীদের জন্য
শনিবার (২ অক্টোবর) সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে আগামী (১০ অক্টোবর) ২০২১ সকাল ৬টা হতে সরকারি বেসরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন শুধু করোনা ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীরা। এর ফলে (ফাইজার, এস্ট্রেজেনেকা, মডার্নার) শুধু এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী কিংবা শুধু করোনামুক্ত হয়ে ইমিউন হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে যে কোনো প্রকার আর্থিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক, স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে, বিমানে আরোহণ ও গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যে কোনো প্রকার সাংস্কৃতিক , বিনোদনমূলক, সামাজিক, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে। এ ছাড়াও যে কোনো প্রকার সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যে উদ্দেশ্যেই যান না কেন এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। দেশটির সরকারের নতুন নীতিমালায় এক ডোজ টিকা নিয়ে সৌদি আরবে গেলে, থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। এ জন্য গুনতে হবে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। নতুন নির্দেশনা জানা না থাকায় অনেক প্রবাসীকে ফেরত যেতে হচ্ছে বিমানবন্দর থেকেই।
সম্প্রতি সৌদি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের কোয়ারেন্টাইন নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের ক্ষেত্রে এক ডোজ টিকা নেয়া থাকলেও ৫ দিন নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর আগে এক ডোজ টিকা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করা গেলেও নতুন এই শর্তে সেই সুযোগ আর থাকছে না। সৌদি সিভিল অ্যাভিয়েশনের নতুন শর্তে বলা হয়েছে, সৌদি আরব থেকে এক ডোজ টিকা নিয়ে যেসব নন সৌদি নাগরিক, ছুটিতে গিয়েছিলেন তাদের ফেরার সময় কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে। নির্দেশনায় ইমিউন যাত্রীদের সংজ্ঞায় কেবল, সৌদিতে আগতদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজারের দুই ডোজ টিকা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে বিমানবন্দর থেকেও ফিরে আসছেন। তবে সৌদিতে এক ডোজ নিয়ে কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে অপর ডোজ গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে কি হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে যারা এক ডোজ টিকা নিয়ে দেশে গিয়েছেন তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। ভিসার মেয়াদ না থাকায় অনেককে তাই কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজের জন্য গুনছেন বাড়তি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।