চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে তার শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে। তিনি পটিয়া পৌর সদরের ১ নং ওয়ার্ডের আল্লাই মোহম্মদীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
সোমবার বিকেলে শিশুটির বাবা বলেন, আমার ছেলে পটিয়া শাহচাঁন্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছেন। গত রোববার রাত ৮ টার দিকে আমার ছেলে পটিয়া স্টেশন রোড় থেকে আমির ভান্ডার এলাকায় বাসায় আসার পথে মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল আমার ছেলেকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার ছেলেকে বলৎকার করে। পরে তাকে পেয়াজু দিয়ে বলে দেয় এ ঘটনা যাতে কাউকে না বলে।
তিনি বলেন, পরে সে রাতে বাসায় এসে মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। তার মা আমাকে অবগত করলে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের বাসা খুঁজে বের করি। এ সময় স্থানীয় লোকজনদের জানানো হলে স্থানীয়রা তার বাসার রুমের বাইরে তালা মেরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তবে মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমি এ ধরনের কিছুই করি নাই। এমনি ছেলেটাকে আদর করেছিলাম। পরে তাকে পেয়াজু খেতে দিয়েছি।’
ঘটনার সত্যতা শিকার করে পটিয়া থানার এসআই বোরহান উদ্দিন বলেন, শিশু বলৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত শিক্ষক ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।