স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

টাকার বিনিময়ে চান্দুর হাতে বোনকে দিয়ে গিয়েছিল স্মৃতি

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানাধীন সুপারিওয়ালাপাড়ায় একটি বাসায় এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চান্দু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খাইরুল আমীনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন চান্দু মিয়া।

জবানবন্দিতে চান্দু মিয়া উল্লেখ করেন, ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিকটিম কিশোরীর চাচাতো বোন স্মৃতি ও নুরী আক্তার ওই কিশোরীকে চান্দু মিয়ার বাসায় দিয়ে যায়। এর আগেও বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন নারীদের চান্দু মিয়ার কাছে নিয়ে আসতেন নুরী আক্তার। 

২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ডবলমুরিং থানাধীন সুপারিওয়ালাপাড়ায় একটি বাসায় ধষর্ণের শিকার হন ওই কিশোরী। এ ঘটনার পর পুলিশ নুরী আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. অন্তর (২২) এবং রাজিব হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করে। 

পরে মঙ্গলবার ভোরে পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত চান্দু মিয়াকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়া নেতৃত্বে একটি টিম। 

এসআই অর্নব বড়ুয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় চান্দু মিয়া। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পতেঙ্গায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। সেখান থেকে তাকে আমরা গ্রেফতার করি। 

ডবলমুরিং থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন চান্দু মিয়া। এর আগেও তিনি অন্য মেয়েদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে এসব করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ফেনী থেকে আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় চাচার বাসায় বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। ওই কিশোরীর চাচাতো বোন স্মৃতি আগে থেকে অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। স্মৃতি আর নুরী আক্তার মিলে ওই কিশোরীকে চান্দু মিয়ার বাসায় বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়েই তারা সটকে পড়েন। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারাও দেন নুরী আক্তার। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দিয়ে মারধর করে স্মৃতি আর নুরী আক্তার। ওই কিশোরীর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নিয়ে ফেলে তারা। 

আরো সংবাদ